নানা রকম নিরামিষ-আমিষের পদ সাজিয়ে পরিবেশনের নিপুণতা বাঙালির রক্তে। আসলে খাওয়া কেমন হবে যতটা খাবারের মান ও পরিমাণের উপরে নির্ভর করে, পরিবেশনের উপরে তার চেয়ে কিছু কম নির্ভর করে না। বাঙালি তেতো জাতীয় পদ দিয়ে খাওয়া শুরু করে। আর শেষ পাতে চাটনির পরে মিষ্টি। কৃত্তিবাসী রামায়ণে সীতার খাদ্য পরিবেশন বা ঈশ্বর গুপ্তের ছড়ায় বাজার বৃত্তান্ত পড়েই বোঝা যায়, অবিভক্ত বাংলাতেও ঝালে-ঝোলে-অম্বলে খাবার পরিবেশন পুরোদস্তুর এক পারফর্মিং আর্ট ছিল।

পরিবেশনের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় হল যাচাই। কে চাইছেন আর কে চাইছেন না, তা বোঝার জন্য চাই পরিবেশনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা। খাদ্য পরিবেশনের জন্য চাই পূর্বপ্রস্তুতিও। এই প্রস্তুতি কেমন হতে পারে, তার একটি আভাস মেলে বিশ্বেশ্বর তর্কালঙ্কারের ‘পাকরাজেশ্বরঃ’ বইয়ে, ‘‘সরল সহাস্য মুখ প্রসন্ন হৃদয়।/ ভাগ্যবন্ত লক্ষ্মীকান্ত পূজনে আশয়।/ তৎপর স্বামীর স্নেহে পাকেতে নিপুণ।/ শুদ্ধমতী দানশীল অকথ্য সে গুণ।’’ পরিবেশনার গূঢ় রহস্য লুকিয়ে বাজারে। বাজার করতে করতেই মেনু ভিস্যুয়ালাইজ় করতে হয়। জানা চাই, কার সঙ্গে কী যাবে। আর কথায় বলে, মানুষের সুখী জীবনের চিত্র— ব্যাগভর্তি বাজার করে ঘরে ফেরা, সে বাঙালি এ পারের হোক বা ও পারের।

তাই আপনাদের বিশেষ দিনগুলো স্মৃতিমধুর করার দায়িত্ব তুলে দিন আমাদের হাতে।

 

নানা রকম নিরামিষ-আমিষের পদ সাজিয়ে পরিবেশনের নিপুণতা বাঙালির রক্তে। আসলে খাওয়া কেমন হবে যতটা খাবারের মান ও পরিমাণের উপরে নির্ভর করে, পরিবেশনের উপরে তার চেয়ে কিছু কম নির্ভর করে না। বাঙালি তেতো জাতীয় পদ দিয়ে খাওয়া শুরু করে। আর শেষ পাতে চাটনির পরে মিষ্টি।

পরিবেশনের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় হল যাচাই। কে চাইছেন আর কে চাইছেন না, তা বোঝার জন্য চাই পরিবেশনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা। খাদ্য পরিবেশনের জন্য চাই পূর্বপ্রস্তুতিও।

পরিবেশনার গূঢ় রহস্য লুকিয়ে বাজারে। বাজার করতে করতেই মেনু ভিস্যুয়ালাইজ় করতে হয়। জানা চাই, কার সঙ্গে কী যাবে। আর কথায় বলে, মানুষের সুখী জীবনের চিত্র— ব্যাগভর্তি বাজার করে ঘরে ফেরা, সে বাঙালি এ পারের হোক বা ও পারের।

বিস্তারিত জানুন
 

অনুষ্ঠান বাড়ির সাজসজ্জার অন্যতম অনুষঙ্গ হলো আলো। আলো ঘরকে শুধু আলোকিতই করে না, পাশাপাশি ঘরে একটা মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করে। ঘরের সাজসজ্জার জন্য যেমন আলো অন্যতম, তেমনি আলো দিয়ে ঘর সাজাতেও মাথায় রাখতে হবে দুটি বিষয়। আলোর অনুষঙ্গে হতে হবে দেশীয় ঐতিহ্য এবং উজ্জ্বল।

বর্তমান সময়ে বেশিরভাগই আলোকসজ্জা করা হয় কৃত্রিম আলোতে । বাড়িজুড়ে রং-বেরঙের আলো ব্যবহার করেন অনেকেই। আলোর পাশাপাশি অন্যান্য আলোকসজ্জায় অন্যরকম সুন্দর করে তুলতে পারেন আপনার অনুষ্ঠান বাড়ি। দরজার বাইরে একটা আংটায় ঝুলিয়ে দিতে পারেন চমৎকার একটি লণ্ঠন। লণ্ঠনের নরম আলো সাদরে আমন্ত্রণ জানাবে অতিথিদের। যেন চোখ জুড়ানো দৃশ্য! তাছাড়া, বড় ঘরের সিলিংয়ে একটি ঝাড়বাতি থাকলেও ঘরকে দেখাবে আকর্ষণীয়। রঙিন ফুলেল নকশার ল্যাম্পশেড রাখতে পারেন বেডসাইড টেবিলে। আর সেটা দেখে আপনার নয় শুধু, যে কারও মন ভালো হয়ে যাবে।

বাড়ির বাগান, ছাদ কিংবা বারান্দায় গাছ রয়েছে? তাহলে আর কী টুনি লাইটগুলো সুন্দর করে গাছের ছোট ছোট ডালে পেঁচিয়ে আরো সুন্দর করে তুলবো আমরা।

বিস্তারিত জানুন
 

বিয়ের তত্ত্বে চমক চাই? আমাদের সাহায্য নিতেই পারেন।

বিয়ে মানেই দু’টি পরিবারের মধ্যে গড়ে ওঠে সম্পর্কের সেতু। গায়ে হলুদের দিনে বরের বাড়ি থেকে এবং বউভাতের দিনে কনের বাড়ি থেকে উপহার দেওয়ার প্রচলন রয়েছে বাঙালি পরিবারে। তাকেই বলে তত্ত্ব। এই রীতিতে নানা রকমের মিষ্টি, পোশাক, সাজ সরঞ্জাম, মাছ ইত্যাদি সাজিয়ে পাঠানো হয় নতুন কুটুমবাড়িতে। মূলত তত্ত্ব সাজিয়েগুছিয়ে পাঠানোটাই হয়ে ওঠে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

একসময়ে তত্ত্বের মূল উপকরণ ছিল হলুদ, মিষ্টি এবং পান-সুপারি। কনের ক্ষেত্রে সঙ্গী হিসেবে থাকত কনের পোশাক, আলতা, চুড়ি,গয়না ও বরের ক্ষেত্রে পাঞ্জাবী, ধুতি, সোনার চেন ও নানা রকম প্রসাধনী

বাড়িতে ভাই-বোন, পিসি-মাসি-কাকিমাদের হইহই করে তত্ত্ব সাজানোর আনন্দই আলাদা। তবে এখনকার দিনে সময়ের অভাবে অনেকেই তত্ত্ব সাজানোর ভার পেশাদারদের দিয়ে থাকেন। যাঁদের পরিবারে আত্মীয়স্বজনের লোকবল কম, তাঁদের ক্ষেত্রেও এটি এক এবং অদ্বিতীয় উপায়।

বিস্তারিত জানুন
 

আনন্দ-উৎসবের সঙ্গে সব দেশে, সব ধর্মেই এই সব রীতির সঙ্গে জড়িয়ে ছিল নিখাদ কৌতুক। সঙ্গে সমাজ-সংসারের নানা ছবিও। এখন তার জায়গায় মেহেন্দি-চর্চা আর ‘সঙ্গীত’-এর আসর।

সঙ্গীত বহু বছর ধরে বিবাহের জনপ্রিয় পছন্দ। তারা কমনীয়তা এবং রোম্যান্সের অনুভূতি প্রদান করে যা বিবাহের আনুষ্ঠানিক এবং অন্তরঙ্গ পরিবেশের জন্য উপযুক্ত।